,

সাংবাদিক বোনের সাক্ষাৎকার নিলেন জাকের আলী অনিক

সময় ডেস্ক : বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচের পর জাকের আলীকে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করেছেন তার সাংবাদিক বোন। তবে এবার আরও বড় পরিসরে দুজন মুখোমুখি হলেন। সেটি বিসিবির সৌজন্যে। ক্রিকেটার ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ সাংবাদিক বোনকে করে দেন বিসিবি। শেষদিকে বোনের হাত থেকে বুম নিয়ে নিজেও বনে গেলেন কয়েক মুহূর্তের সাংবাদিক। সবশেষে পরম ভালোবাসায় এক অপরকে জড়িয়ে ধরলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, জাকের ও তার সাংবাদিক বোন শাকিলা ববি একে অপরকে প্রশ্ন করছেন। আর এই প্রশ্নোত্তরেই উঠে এসেছে ক্রিকেটার জাকেরের গল্প।
ভিডিওর শুরুতেই আয়োজনের নতুনত্বের বিষয়টি সামনে আনেন বিসিবির মিডিয়া বিভাগের সহকারী ম্যানেজার জাহিদ চৌধুরী। এরপর শাকিলার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের ব্যাটার জাকের বলেন, ‘অনুভূতিটা অনেক ভালো। সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল, জাতীয় দলের হয়ে খেলব, ম্যাচ জেতাব। তো সবকিছু মিলিয়ে ভালো লাগছে।’
জাকের আলীকে তার বোন পরের প্রশ্নে বলেন, যেহেতু জাতীয় দলের কন্ডিশনটা আপনার কাছে একপ্রকার নতুন (আগে এশিয়ান গেমস তিনটা ম্যাচ খেলেছেন)। তারপরও ঘরের মাঠে মানিয়ে নিতে কেমন লাগছে?’
বোনের প্রশ্নের জবাবে জাকের বলেন ‘স্পেশাল’ অনুভব হওয়ার কথা, ‘জাতীয় দলের পরিবেশটা খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম দিন আমাকে যেভাবে সবাই স্বাগতম জানিয়েছে। এই জিনিসটা আমার কাছে স্পেশাল ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি স্পেশাল কেউ এসেছি। জিনিসটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সবাই আমাকে যেভাবে বরণ করে নিয়েছে, জিনিসটা আমার কাছে আসলেই স্পেশাল ছিল।’
প্রয়াত বাবা দেখে যেতে পারেননি জাকেরের সাফল্য। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণের পথে ভূমিকা রাখায় বাবা ও ভাইয়ের পাশাপাশি বোনকে কৃতিত্ব দেন জাকের। সেই সঙ্গে নিজের দায়িত্ব তুলে ধরেন, ‘সবারই ভূমিকা ছিল। বাবার ভূমিকা ছিল, ভাইয়ের ভূমিকা ছিল, আপনারও ভূমিকা ছিল। আপনি অনেক কষ্ট করেছেন, আমাকে অনুশীলনে নিয়ে গেছেন। আসলে কারও ভূমিকা ছাড়ার মতো উপায় নাই। সবারই স্বপ্ন ছিল আমাকে এই জায়গাতে দেখার। এখন আমার দায়িত্ব কীভাবে আমি আরও সামনের দিকে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, নিজের দেশকে জেতাতে পারি। আমার মনে হয়, কাজটা আরও বেড়েছে। আমি ওই প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করব।’
লম্বা সাক্ষাৎকারে এরপর একসময় নিজেই মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে নেন জাকের। উল্টো প্রশ্ন করেন বোনকে, ‘এবার আমি একটা প্রশ্ন করি। আমাকে ভাই হিসেবে জাতীয় দলে খেলতে দেখে আপনার কেমন লাগছে?’
জবাবে তার বোন শাকিলা ববি বলেন, ‘এই অনুভূতি আসলেই ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। সেই ছোটোবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল। এটা অনেক ভালো লাগার। এটা আপনিও ভালো বুঝবেন। যখন মাঠে খেলছিলেন, প্রেসবক্সে বসে আমার চোখ দিয়ে পানি আসছিল, কান্না করছিলাম। বাসার সবাইও আপনাকে দেখে কান্না করছিল।’
জাকের আলীর বোন শাকিলা ববি একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় প্রতিনিধি। তার স্বামী মামুন হোসেন একটি পত্রিকার ফটোসাংবাদিক। শাকিলার আরেকটি পরিচয়ও আছে। তিনি হবিগঞ্জ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। খেলাধুলা অবশ্য জাকেরের রক্তেই। পাঁচ-ভাই বোনের পরিবারের মধ্যে চারজনই খেলাধুলা করেছেন। তার স্ত্রী নাফিসা তাবাসসুম জাতীয় পর্যায়ের আর্চার।


     এই বিভাগের আরো খবর